যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে টানা বৃষ্টিতে দুটি বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এডেনভিল ও স্যানফোর্ড বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন স্থানীয় গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার।
এদিকে, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিত্তাবাউয়াসি নদী তীরবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যায় জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
মঙ্গলবার রাতে মিশিগানের গভর্নর সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি ও বাঁধের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি মিডল্যান্ড কাউন্টির বাসিন্দাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
গভর্নর বলেন, ‘বিষয়টি গুরুতর। তাই নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। বাড়ি ছেড়ে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিন। আগামী ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে মিডল্যান্ড ডাউনটাউন ৯ ফুট পানির নিচে ডুবে যেতে পারে।’
পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে স্থান ত্যাগ করার সময় করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে মাস্কের ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
মিডল্যান্ড, এডেনভিল ও স্যানফোর্ডের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার জানান, এই কাজে সহায়তা দিচ্ছে মিশিগান ন্যাশনাল গার্ড।
টানা বৃষ্টির কারণে যে দুটি বাঁধ ধসে পড়েছে তার মধ্যে ইডেনভিলের বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল ১৯২৪ সালে। বাঁধটির অবস্থা সন্তোষজনক নয় বলে ২০১৮ সালে রাজ্য কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। ওই একই প্রতিবেদনে ১৯২৫ সালে নির্মিত স্যানফোর্ড বাঁধ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিশিগান ভ্রমণের কথা রয়েছে। তিনি অঙ্গরাজ্যটিতে ফোর্ডের একটি কারখানায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উপকরণ ভেন্টিলেটরের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে যাবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আমার দল মধ্য মিশিগানে বন্যার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। নিরাপদে বাড়িতে থাকুন এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের কথা শুনুন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সবচেয়ে দক্ষ সামরিক বাহিনী এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্মীদেরও পাঠিয়েছি। গভর্নর অবশ্যই আপনাদের মুক্ত করতে সহায়তা করবেন। শিগগিরই আপনাদের কাছে আসছি।’